বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথপুর সদর বাজার নিরাপত্তা নিয়ে বাজারের ব্যবসায়ী ও জনতার মধ্যে নানা প্রশ্ন ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
জানাযায়, ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে জগন্নাথপুর সদর বাজারের পৌর পয়েন্টে সিএনজি চালকদের হামলায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গন্ধর্বপুর গ্রামের যুবলীগ নেতা আজমল হোসেন মিঠু আহত হন। এ ঘটনায় রাণীগঞ্জ থেকে কয়েক শতাধিক লোক সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে জগন্নাথপুর পৌর পয়েন্টে এসে অবস্থান নেন। এদিকে-সিএনজি চালকদের পক্ষে জগন্নাথপুর এলাকা থেকে সিএনজি চালকগণ সহ আরো কয়েক শতাধিক লোক প্রস্তুতি নিয়ে জড়ো হন সংঘর্ষের জন্য। এ সময় জগন্নাথপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল এসে উভয় পক্ষকে সরিয়ে দেন। তা না হলে রণক্ষেত্রে পরিণত হতো পৌর পয়েন্ট।
এছাড়া রাত প্রায় সাড়ে ১১ টার দিকে জগন্নাথপুর ভেতর বাজারে চা খাওয়া নিয়ে দুই কিশোরের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনায় দফায় দফায় সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে তাদের পক্ষের লোকজন বাজারে চলে আসেন। যদিও ব্যবসায়ী জনতার উদ্যোগে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন হয়।
এসব ঘটনায় ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে নুর মোহাম্মদ বলেন, যে কোন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হলেই গ্রাম থেকে লোকজন লাটিসোটা নিয়ে বাজারে চলে আসেন, তা কোন অবস্থায় কাম্য নয়। বাজারে সংঘর্ষ হলে ব্যবসায়ী ও জনতার ক্ষতি হবে। তাই বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের প্রতি তিনি আহবান জানান। এছাড়া বাজারে আসা ক্রেতাদের মধ্যে অনেকে বলেন, বাজারে সংঘর্ষ হলে সবারই ক্ষতি হবে। যে কোন বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হলেই গ্রাম থেকে লোকজন লাটিসোটা নিয়ে বাজারে চলে আসা বন্ধ করতে হবে। তা না হলে বাজারের নিরাপত্তা থাকবে না।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর বাজার সেক্রেটারি জাহির উদ্দিন বলেন, এ ২ ঘটনায় জড়িতরা বাজারে এসে আর অপ্রীতিকর ঘটনা করবেন না বলে আমাদেরকে বলেছেন। তবে আগামীতে যদি কেউ এ ধরণের ঘটনা করে, তা হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
Leave a Reply